ব্রণের দাগ দূর করুন
ব্রণের দাগের সমস্যা প্রায় মেয়েরই হয়ে থাকে। এর মূল একটি কারণ হল ব্রণ উঠলে তা নখ দিয়ে খোঁচানো। এর ফলে নখের জীবাণু ত্বকে লেগে যায় এবং সেখান থেকে ইনফেকশন হয়ে ব্রণের দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যায়। যতই পরামর্শ দেয়া হোক না কেন এই কাজটি প্রায় মেয়েরাই করে থাকেন। ব্রণ উঠলে জায়গাটিতে চুলকাবে এটা স্বাভাবিক। তাই বলে এটিকে নখ দিয়ে খোঁচানো একেবারেই উচিত না। এই কাজটি থেকে বিরত থাকা উচিত। ব্রণের দাগ দূর করার কিছু প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান বেশ কাজে আসে। আমলকি , হরিতকি ত্রিফলা৷ মিশ্রণে ব্রণের দাগ নির্মূলে সহায়ক একটি উপাদান। এছাড়া লবঙ্গ বাটাও ব্যবহার করতে পারেন। লেবু, মধু, বেকিং সোডা, টমেটো, অ্যালোভেরা জেল এগুলোর ব্যবহারেও ব্রণের দাগ নির্মূল হয়ে যায়। এই উপকরণগুলোর তৈরি প্যাক প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আরও একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখবেন তা হল, ব্রণ উঠলে কখনই সূর্যের তাপের সংস্পর্শে যাবেন না। সূর্যের রশ্মি ব্রণের জন্য ক্ষতিকারক। ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। ব্রণের দাগ নির্মূলে আরও কিছু উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। যেমন : শশা, কাঁচা হলুদ, চন্দনকাঠের গুড়া, গোলাপজল, আপেল ও মধুর মিশ্রণ, কমলার খোসা, পাকা পেপে, নিম পাতা ইত্যাদি। এই উপকরণগুলো দিয়ে তৈরি বিভিন্ন প্যাক ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হয়ে যায়। ত্বক কখনই অপরিস্কার রাখবেন না। কারণ অপরিস্কার ত্বকে ব্রণের দাগ স্থায়ী হয়ে যায়। এছাড়া ব্রণ ওঠার সময়টাতে বেশি করে জল খাবেেন কেননা জল ত্বকের জন্য উপকারী।
এছারা ব্রণের প্রতিকারের জন্য লোটাস প্রফেশনাল এক্নে কিট খুব ভালো কাজ করে। প্রতি মাসে একবার এই কিট ব্যব হার করুন উপকার পাবেন।